সংবাদ বিজ্ঞপ্তি:

কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) দেশের সবচেয়ে বড় মহাপরিকল্পনা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। কউক কর্তৃক যে মাস্টারপ্ল্যান নিয়েছে তা একে একে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেককিছুর পরিবর্তন হয়েছে এবং মেগা প্রকল্পসহ অনেক প্রজেক্ট চলমান রয়েছে। কয়েক বছরের মধ্যে হাতে নেয়া উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ করে একটি উন্নত মডেল কক্সবাজার উপহার দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টায় ইন্টারনাল স্টাডি ট্যুর অফ ক্যাপস্টোন কোর্স-২০২৩/২ এ ফেলোদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি।

কউক চেয়ারম্যান বলেন, ‘কক্সবাজারে ব্যাপক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে এই জেলায় অভাবনীয় উন্নয়ন সম্পন্ন হয়েছে। চলমান উন্নয়ন ছাড়াও বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কক্সবাজারকে সর্বোচ্চ সুন্দর ও ট্যুরিজম জোন হিসেবে গড়ে তোলতে মাস্টারপ্লান উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। তন্মধ্যে কক্সবাজার টু মহেশখালী এবং কক্সবাজার টু টেকনাফ ক্যাবল কার স্থাপনের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। সাবরাং ট্যুরিজম পার্কে বিশাল আন্ডার সী অ্যাকুরিয়াম, সার্কুলার বাস টার্মিনাল, মেরিনা বে রিসোর্ট, খুরুশকুল স্মার্ট সিটি, থিম পার্ক, ইকো রিসোর্ট, চৌলদণ্ডীতে রিভাররেইন ট্যুরিজম, কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার জন্য সী-প্লেন ব্যবস্থাপনার কাজ হাতে নেয়া হয়েছে। এবং যতদ্রুত সম্ভব এই উন্নয়নগুলো বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারে স্যুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, বাঁকখালী নদীকে ১৫০ ফিট প্রসস্থকরণ এবং ইন্টারন্যাশনাল কনভিয়েন্স সেন্টার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে কউক। বিদেশী পর্যটকরা যেন কক্সবাজারে এসে মুদ্রা বিনিময় করতে পারে সেই ব্যবস্থাও করে যাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।

এসময় কউক চেয়ারম্যান কমোডর মোহাম্মদ নুরুল আবছার অনুষ্ঠানে উপস্থিত ফেলোদের সামনে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ভিশন উপস্থাপন করেন। এতে তিনি প্রমোশন ট্যুরিজম, ব্লু ইকোনমির সম্পদ ব্যবহার করা, জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা এবং অভিযোজন উপর ফোকাস, বঙ্গোপসাগরে ভূ-রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে কাজে লাগানো, রোহিঙ্গা সঙ্কট এবং এর দীর্ঘমেয়াদী প্রভাবের দিকে নজর রাখার বিষয় উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- সংসদ সদস্য মো. আয়েন উদ্দিন, মোহাম্মদ শিবলী সাদিক, মোহাম্মদ আসলাম হোসাইন, এমএ মতিন, আমিরুল আলম মিলন, আনজুম সুলতানা সীমা, উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম। অতিরিক্ত সচিব তারেকুল ইসলাম, ফেরদৌসী শাহরিয়ার, ডক্টর সালমা মমতাজ, পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক বেলালুর রহমান, অ্যাসিস্টেন্ট চিপ অফ নেভাল স্টাপ রিয়ার এডমিরাল মোঃ জহির উদ্দিন, ভাইস-চ্যান্সেলর ফখরুল ইসলাম, বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম ফজলুর রহমান প্রমুখ।